চর উজিলাব: নরসিংদী জেলাটি ৬টি উপজেলা নিয়ে গঠিত।তেমনি চর উজিলাব ইউনিয়নটি বেলাব উপজেলার মধ্যে প্রত্যত্ন অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত হলেও মুক্তিযুদ্ধের বহুল স্মতি এখনও বহন করে। যার ধারা বাহিকতায় বেলাব উপজেলায় চর উজিলাব ইউনিয়নের চর উজিলাব একতা বাজারে মুক্তিযুদ্ধের স্মতি ফলক নির্মাণ করা হয়েছে। চর উজিলাব ইউনিয়টি নরসিংদীর অন্তর্গত হওয়ায় ১২ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয়।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকবাহিনীর পরাজয় ও আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে নরসিংদী পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল। এ দিনে সম্মিলিত মুক্তি বাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে নরসিংদী শহরসহ গোটা জেলা পাক হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাসে এ দিনটি নরসিংদী বাসীর কাছে অত্যন্ত গৌরবোজ্জল ও স্মরণীয় দিন। ৭১’ সালে দীর্ঘ ৯ মাস নরসিংদী জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে বেলাবতে একাধিক খন্ড যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। ওই খন্ড যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর নির্মমতার শিকার হয়ে শহীদ হয়েছেন অনেক বীর সন্তান। এর মধ্যে বেলাব উপজেলার ১৬ জন। এছাড়া বহু মা-বোনের নিরব আত্মত্যাগের বিনিময়ে বেলাব উপজেলা তথা নরসিংদী হানাদার মুক্ত হয়।
মুক্তিবাহিনীর অবস্থানঃ
স্বশস্ত্র প্রতিরোধের প্রাথমিক অবস্থায় ১৪এপ্রিল ভৈরব ও আশুগঞ্জ এলাকায় বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকেরা পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবস্থান নেয়। বেঙ্গল রিজিমেন্টের অবস্থান পরিবর্তনের পর জনগনের মধ্যে প্রতিরোধ গড়ার লক্ষ্যে স্থানীয় তরুনদের সশস্ত্র প্রশিক্ষন প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। চর উজিলাব ইউনিয়নের চর উজিলাব গ্রামের প্রয়াত কৃষক নেতা কমরেড আব্দুল হাই এর বাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গোপন ঘাঁটি এবং প্রশিক্ষন ক্যাম্প গড়ে উঠে। মে মাসের মধ্যে বাজিতপুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তিশালী অবস্থান গড়ে ওঠে। পার্শ্ববর্তী কুলিয়ারচর থানার অধীন কাশিমনগরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এমপি ইউনিট থেকে পালিয়ে আসা হাবিলদার মেজবাহ উদ্দীন খান যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে স্থায়ীভাবে অস্ত্র সংগ্রহ করে একটি মুক্তিবাহিনী দল গঠন করে। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনে আন্দামান দ্বীপে নির্বাসিত ও কারাবহনকারী রাজনীতিবিদ ইন্দু ভূষন এলাকার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত ছিলেন।
চর উজিলাব ইউনিয়নে গেজেটভুক্ত ১০৫ জন মুক্তিযোদ্ধা আছেন। বর্তমানে ৮৫ জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারী ভাতা পচ্ছেন। ২০ জন মুক্তিযোদ্ধার গেজেটভুক্তকরন প্রক্রিয়াধীন আছে। বর্তমানে চর উজিলাব ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল বারী।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস